" ‘সামলাতে না পারলে পদত্যাগ করে চলে যান’ "

‘সামলাতে না পারলে পদত্যাগ করে চলে যান’

 


পিসিবি চেয়ারম্যানকে কামরান আকমল

‘সামলাতে না পারলে পদত্যাগ করে চলে যান’

ঘরের মাঠে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে নাস্তানাবুদ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড সফরে গিয়েও খুব একটা ভাগ্য বদল হয়নি পাকিস্তানের। কিউইদের বিপক্ষে ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৪-১ ব্যবধানে হারার পর ওয়ানডে সিরিজেও পাত্তা পাচ্ছেন না মোহাম্মদ রিজওয়ান-বাবর আজমরা।

এরই মধ্যে সিরিজের প্রথম দুই ওয়ানডে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করেছে পাকিস্তান। আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতেও মূল ব্যাটসম্যানরা হতাশ করেছে সফরকারীদের।

পাকিস্তানের এমন দুরাবস্থার জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির ওপর দায় চাপিয়েছেন দেশটির সাবেক ক্রিকেটার কামরান আকমল। তাঁর মতে, নাকভি যদি পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে না পারেন, তবে চেয়ার ছেড়ে দেওয়া উচিত।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে পাকিস্তানের বর্তমান হতশ্রী পারফরম্যান্সের সমালোচনা করতে গিয়ে সাবেক এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান বলেছেন, ‘এটা লজ্জাজনক। পিসিবি চেয়ারম্যান যদি মনে করেন, তিনি এসব সামলাতে পারবেন না, তাহলে তাঁর পদত্যাগ করে চলে যাওয়া উচিত।’

এরপর পিসিবি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে আকমল ভাইদের বড়জন বলেছেন, ‘এভাবে নিজের সম্মান নষ্ট করবেন না। যদি সম্মান হারাতে না চান, তবে বর্তমান দলের অবস্থার উন্নতি করুন।’

শুধু বোর্ড প্রধানের সমালোচনাই করেননি কামরান, পাশাপাশি শূলে চড়িয়েছেন পেসারদেরও। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের মতো পেসবান্ধব উইকেটেও শাহিন আফ্রিদি-নাসিম শাহ-ফাহিম আশরাফদের লাইন লেংথ দেখে হতাশা ঝেড়েছেন সাবেক এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান।

কামরানের ভাষায়, ‘এ ধরনের উইকেটেও যদি পাকিস্তানের বোলারারা বল করতে না পারে, তাহলে আর কোথায় বোলিং করবে? এশিয়াতে খেলার সময় ওরা বলে, এখানে বোলারদের করার কিছু নেই। যেসব ভেন্যুতে (উইকেটে) সুবিধা পাওয়া যায়, সেখানেও ওরা কিছু করতে পারছে না। তাহলে কী ওদের বিপক্ষে প্রতিবন্ধী খেলোয়াড়দের নামিয়ে দিতে হবে? আমরা জানিই না কোথায় বল ফেলতে হবে। এত কথা বলার মানে হচ্ছে, অবশ্যই পরিবর্তন দরকার।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ৩৪৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে একটা পর্যায়ে পাকিস্তানের স্কোরবোর্ডে ছিল ২৪৯ রানে ৩ উইকেট। সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে পরের ৩৪ বল আর ২২ রানের ব্যবধানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা।

আবার দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইনিংসের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয় দেখেছে পাকিস্তান। কিউইদের ২৯২ রানের জবাবে মাত্র ৩২ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। অতিরিক্ত রান বাদ দিলে শুরুর ৫ ব্যাটসম্যান মিলে মোটে ১৯ রান করেছিলেন। তবে ফাহিম আশরাফের ৭৩ আর নাসিম শাহের ৫১ রানের সুবাদে সেদিন বড় লজ্জার হাত থেকে বেঁচে যায় পাকিস্তান। এরপরও অবশ্য ম্যাচটা ৮৪ রানে হারে সফরকারীরা।

পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ের হাল বোঝাতে কিউইদের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেকে উদাহরণ হিসেবে টেনে কামরান বলেছেন, ‘ওই ম্যাচে ফাহিম আশরাফ আমাদের বাঁচিয়েছে। নাসিমের থেকে আমাদের রান দরকার নেই। ওর থেকে আমরা উইকেট চাই। আমাদের ব্যাটসম্যানদের কোনো পরিকল্পনা নেই। (প্রথম ওয়ানডেতে) বাবর আউট হওয়ার পরই আমাদের ব্যাটিং অর্ডারেরে গোমর ফাঁস হয়ে গেছে। কোচ বাদে ম্যাচের ফল নিয়ে আমি কারও মধ্যে কোনো অনুশোচনা দেখিনি। তোমরা পাকিস্তানের ক্রিকেটকে ধ্বংস করে দিচ্ছ।’

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال