সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা যায়, নিহত শামীম ফকির দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার মিরপুরে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। বাড়িতে তেমন তার আসা-যাওয়া নেই। এবারের ঈদ গ্রামের বাড়িতে পরিবারে সঙ্গে করার কথা ছিল তার। পরে বাড়িতে না এসে পরিবার নিয়ে অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে কক্সবাজার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) সকালে কক্সবাজার থেকে চট্টগ্রামগামী রিলাক্স পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে শামীম ফকিরসহ পাঁচজন মারা যায়। তার এক মেয়ে গুরতর আহত হয়েছে। এদিকে নিহত শামীমের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলায় চলছে স্বজনদের শোকের মাতম।
নিহত শামীম ফকিরের ভাতিজা পারভেজ ফকির জানান, চাচা পরিবারসহ ঢাকার মিরপুরে থাকেন। বাড়িতে উনার তেমন আসা হয় না। এ বছর বাড়িতে ঈদ করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আসা হয়নি। গত মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চাচা মুঠোফোনে ভিডিও কল দিয়ে বাড়ির সবার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। নিহত শামীমের স্বজন নাদিরা আক্তার বলেন, একসঙ্গে পরিবারের অধিকাংশ সদস্য এভাবে মারা যাওয়ার ঘটনা খুবই দুখঃজনক।