অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর নির্বাচন চাপিয়ে দেওয়া হলে সেটি মানবে না জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির নেতারা বলছেন, চলমান সংস্কার শেষ হওয়া, আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা ও গণহত্যার বিচারে সরকারকে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া দরকার।
এছাড়া, এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের ব্যাপারে অনড় অবস্থান কারণে বিএনপি জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে বলেও দাবি এনসিপি নেতাদের।
দেশের সাংবিধানিক নানা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন করেছে সরকার। সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ অংশীজনেরা ঐকমত্য কমিশনের কাছে তাদের সুপারিশ জমা দিচ্ছেন। পাশাপাশি ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার অপরাধের বিচার কাজও শুরু হয়েছে।
চলমান সংস্কার, গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা- এই তিন ইস্যুর মীমাংসা ছাড়া নির্বাচন নিয়ে সরকারের ওপর কোনো চাপ সৃষ্টিতে রাজি নয় জাতীয় নাগরিক পার্টি। এ নিয়ে বিএনপির সাথে সুস্পষ্ট দ্বিমত আছে দলটির।
এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সংগঠক হান্নান মাসউদ বলেন, ‘নির্বাচন হওয়ার আগে আমরা যারা রাস্তায় রক্ত ঝরিয়েছি, তাদের কয়েকটা প্রশ্নের সমাধান হতে হবে। লাই গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচার করতে হবে।’
দলটির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানিয়েছেন, ‘ডিসেম্বরেই নির্বাচন দিতে হবে, আমরা এইটার ঘোর বিরোধিতা করি। কারণ এই গণঅভ্যুত্থানের পরে সংস্কারটাই প্রধান, নির্বাচন প্রধান না।’
তাদের দাবি, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিএনপির বাধার মুখে পড়েছে এনসিপির নেতারা। তাদের অভিযোগ, বিএনপির নেতাকর্মীরা দখলদারি, চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়েছেন। যা নিয়ে নিজেদের ফেসবুক একাউন্টে অভিযোগও করেছেন এনসিপির নেতারা।
এনসিপির নেতাদের অভিযোগ, দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বিএনপির নেতাকর্মীরা পতিত আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে নেমেছে। দলটির নেতা হান্নান মাসউদ জানান, ‘বিএনপিই সবচেয়ে বেশি আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন করছে। আমার ইউনিয়নে আমার ওপর যারা হামলা করছে, তার ৩৫% এর বেশি হচ্ছে আওয়ামী লীগের লোকজন ছিল।’
ক্ষমতায় আসার পর বিএনপি প্রয়োজনীয় সংস্কার এগিয়ে নেবে, বিএনপির এমন প্রতিশ্রুতির পক্ষে নয় জাতীয় নাগরিক পার্টি।