জাতীয় দলের সাবেক ফুটবলার শরিফুজ্জামান শরীফ বলেন, গত ১৫ বছরে এই যে দুঃশাসন বিরোধী আন্দোলন হয়েছে। এই আন্দোলনে কি মাহমুদু রহমান মান্নার কোন অবদান ছিলনা? জোনায়েদ সাকির কোন অবদান ছিল না? নুরুল হক নুরের কোন অবদান কি মোটেই ছিলনা। নির্দিষ্ট করে এতটি দলকে ডাকছেন। তার মানে কি জানিয়ে দিচ্ছেন যে, বিএনটি একটা রাজার দল।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেসরকারি টেলিভিশন বাংলা টিভির টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
শরীফ বলেন, আজকের দুপুরের পর থেকে সারা বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা করে বিএনপি সন্তুষ্ট না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আমরা উপদেষ্টার সাথে দেখা করে সন্তুষ্ট না। আবার আইন উপদেষ্টা বললেন, দেখে মনে হয়েছে যে, তারা সন্তষ্ট। আজকের বাংলাদেশে সবচেয়ে রাজনৈতিক ইস্যু ছিল এই বিষয়টি।
তিনি বলেন, বিএনপি যদি আজকে প্রেসমিট না করতেন। তাহলে হয়ত বা আমরা জানতে পারতাম যে, বিএনপি উপদেষ্টার সাথে আলোচনায় করে সন্তুষ্ট হয়েছেন। সরকারের ভিতরে নানা ধরণের মত রয়েছে। আছে নানা ধরনের পথ। কেউ কেউ হয়ত ভিন্ন কোন এজেন্ডাকে সামনে রেখে এগিয়ে যেতে চান। আইন উপদেষ্টার বক্তব্য শোনে এটিই আমার কাছে মনে হয়।
সাবেক এই ফুটবলার বলেন, বাংলাদেশের একটি বড় এবং এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত রাজনৈতিক দল বিএনপি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক করলো এবং তারা সেখান থেকে যে একটা কনক্লোশনে এলো, আর আইন উপদেষ্টা সেখান থেকে ডাইভার্ট করে অন্য একটা ইস্যু এনে একটা মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আমি মনে করি এটা ভীষন পরিকল্পিত।
তিনি আরও বলেন, আজ সন্ধ্যা বেলায় আমির খশরু মাহমুদের যে বক্তৃতা এবং বিএনপির বক্তব্য এই দুটি আলোচনা যদি আমরা না জানতাম। তাহলে সারা দিনে মিডিয়াগুলোতে প্রচার হতো, যে সরকারে যে পদক্ষেপ তা বিএনপি সন্তুষ্ট। আমি মনে করি যে, আইন উপদেষ্টা এই জায়গা উচ্ছাকৃত ভাবে একটা ধোঁয়াশা তৈরি করেছে এবং ধোঁয়াশা তৈরি করার পেছনে নিশ্চয় কোন উদ্দেশ্য আছে।