" সরাসরি নয়, মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ইরান "

সরাসরি নয়, মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসবে ইরান

পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত চাপের মুখে অবশেষে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে ইরান। তবে দেশটি সরাসরি নয়, মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে আলোচনায় বসতে চায়। যদিও এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সরাসরি আলোচনা হচ্ছে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, ওমানের মধ্যস্থতায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান আলোচনায় বসতে যাচ্ছে।

গত সোমবার রাতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লেখেন, ‘আগামী শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘পরোক্ষ’ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।’

পরে ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আগামী শনিবার মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফের বৈঠক করবেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি। ওই বৈঠকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করবে ওমান।

গত সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ইরানের সঙ্গে ‘‘সরাসরি’’ আলোচনা হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত এটি চলবে। আমাদের একটি খুব বড় বৈঠক আছে এবং আমরা দেখব কী হতে পারে। আমি মনে করি সবাই একমত যে, একটি চুক্তি করাই ভালো হবে।’

এর আগে ইরান অবশ্য ওয়াশিংটনের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল।

এ দিকে ট্রাম্প আলোচনার কথা বললেও তিনি ইরানে হামলার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, পরমাণু চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে তারা বড় ধরনের বিপদে পড়বে। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, তেহরানের পারমাণবিক অস্ত্র থাকতে পারে না।

চলতি মাসের শুরুতে এনবিসি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘ইরান চুক্তিতে সম্মত না হলে তেহরানে বোমা হামলা করা হবে। এবং এমনভাবে বোমা হামলা করা হবে যা আগে কেউ কখনো দেখেনি।’

Previous Post Next Post

Random Manga

Ads

نموذج الاتصال